![]() | ||
|
সাকুরা পরিবহন (প্রা।) লিমিটেড (এসপিএল) বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান যাত্রী পরিবহন কোম্পানি। কোম্পানিটি ১৯৯১ সালে জনাব হুমায়ুন কবির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন এবং প্রাথমিকভাবে ভেনিসের বরিশালে মাত্র ((চার) টি নন-এসি বাস দিয়ে এর কার্যক্রম শুরু করে।
জনাব কবির, প্রাক্তন প্রবাসী, কোম্পানির নাম জাপানের জাতীয় ফুলের নামে রেখেছিলেন, "সাকুরা (চেরি ব্লসম)"। তিনি জাপানের মানুষের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতার জন্য এটি করেছিলেন। সাকুরা পরিবহনের যাত্রা শুরু হয় ১৪.০২.১৯৯১ সালে #মিৎসুইয়া নামে। তিনি বরিশাল - বেনাপোল রুটে Hino 172 মডেলের ৪ টি বাস নিয়ে পরিবহন ব্যাবসায় প্রবেশ করেন। পরের বছর ১৯৯২ তে এসে মিৎসুইয়া ঢাকা - বরিশাল রুটে ৮০ টাকা ভাড়ায় লঞ্চ পারাপার বাস সার্ভিস চালু করে। তৎকালীন সময়ে ঢাকা - বরিশাল রুটে #মধুমতি নামে আরেকটি বাস চলত। ১৯৯৩তে এসে কোম্পানিটি লোকসানে পড়ে এবং পরিবহন ব্যাবসা গুঁটিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। সুযোগটা লুফে নেয় মিৎসুইয়া কর্তৃপক্ষ। ওই বছরই তারা মধুমতির ৭ টি বাস, ব্যানার, কাউণ্টার, গুডউইল কিনে নেয়। মালিকানা পরিবর্তন হলেও ওই ৭ টি বাস তখন "মধুমতি" নামেই চলতে থাকে। অবশেষে ওই বছরের শেষের দিকে এসে ঢাকা - বরিশাল রুটে আরও ৪টি Hino 173 বাস নিয়ে #সাকুরা_পরিবহন নামে আত্মপ্রকাশ করে। মজার বিষয় হচ্ছে ১৯৯৪ তে এসে একই মালিকের অধীনে ঢাকা - বরিশাল রুটে ৩ টি ব্যানারে (মিৎসুইয়া, মধুমতি, সাকুরা) বাস চলতে থাকে, যেটা দেশের পরিবহন খাতে অভূতপূর্ব ঘটনা। ফলাফল, সাকুরা অত্র রুটে একছত্র অধিপতি হওয়ার পথে। ২০০০ সাল পর্যন্ত এভাবেই চলতে থাকে। ১৯৯১ থেকে ২০০০ সালের মধ্যেই সাকুরা বরিশালের ওপাশের অধিকাংশ পকেট রুটে (ঝালকাঠি, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, স্বরূপকাঠি ইত্যাদি) সার্ভিস শুরু করে। ২০০০ সালের পরে মিৎসুইয়া, মধুমতি নাম পরিবর্তন করে শুধুমাত্র সাকুরার ব্যানারে চলতে থাকে। ওই একই বছর #সাকুরা_মটরস নামে স্পেয়ার পার্টস শপ চালু করে কোম্পানিটি। অন্যান্য পকেট রুটের মত ২০০১ সালে সাকুরাই প্রথম ঢাকা - কুয়াকাটা রুটে বাস সার্ভিস চালু করে। মজার ব্যাপার হচ্ছে, তখন পটুয়াখালী থেকে কুয়াকাটা যাবার অধিকাংশ রাস্তা ইট (পিচ ঢালাই না) বিছানো ছিল, যেটা কোনভাবেই বাস চলাচল উপযোগী ছিল না। কিন্তু, যাত্রীদের আবদার পূরণ করতেই ওই রুটে বাস দিতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ। ২০০৪ সালে সাকুরার বহরে আপগ্রেডেড Hino -1j মডেলের (যেই ইঞ্জিনগুলো এখন ব্যাবহারিত হয়) ২ টি বাস যোগ হয়। ওই একই বছর গাড়ি রক্ষণাবেক্ষণ এবং বডি নির্মাণের জন্য #সাকুরা_অটোমোবাইলস নামে ওয়ার্কশপ চালু করে। ২০১২ সালে সাকুরার বহরে আফতাব অটোমোবাইলস নির্মিত ৪ টি এসি (পরবর্তীতে সাকুরা অটোমোবাইলস নির্মিত আরও ৩ টি) বাস যোগ হয়। ২০১৩ তে সাকুরা দেশে প্রথমবারের মত অনলাইন টিকেট (অনলাইন গেটওয়ে পেমেন্ট) ব্যাবস্থা চালু করে। ২০১৪ তে উজিরপুর উপজেলার ইছলাদি বাসস্ট্যান্ডে #সাকুরা_ফিলিং_ষ্টেশন নামে নিজেদের তেলের ডিপো চালু হয়। বর্তমানে এসি, নন এসি মিলিয়ে সাকুরার বহরে অর্ধশত বাস রয়েছে। এছাড়াও বর্তমানে সাকুরা পরিবহনে প্রায় ৭০০ লোক কর্মরত রয়েছে যাদের সিংহভাগই বরিশাল নিবাসী। ভবিষ্যতে কোম্পানিটি তাদের বহরে Hino RM2, hyundai, Scania K380 মডেলের বাস যুক্ত করার প্রয়াস ব্যাক্ত করেছে। দীর্ঘ দুই দশকেরও বেশী সময় ধরে দক্ষিণ বাংলার পরিবহন সেক্টরে সুনামের সহিত ব্যাবসা করে যাচ্ছে “সাকুরা পরিবহন”। মানসম্মত সেবা এবং রেকলেস ড্রাইভিং এর (অনেকের কাছে এটা আবার অপছন্দের কারন) জন্য সিংহভাগ যাত্রীদের প্রিয় নাম
সাকুরা পরিবহন।
সাকুরা পরিবহনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব হুমায়ূন কবিরের ভাষ্যনুযায়ী,
সুশৃঙ্খল যানবাহন নিয়ন্ত্রন ও উন্নত যাত্রী সেবা প্রদানে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ.
টিকেট বুকিং, ভাড়া এবং অন্যান্য তথ্যের জন্য কল করুনঃ
+8801729556677
+8801844167650
( সকাল ৬ টা থেকে রাত ১১ টার মধ্যে, সব কয়টি চ্যানেল বিজি থাকলে অনুগ্রহ করে পুনরায় চেষ্টা করুন)
✳️ কাউন্টার থেকে শুধুমাত্র টিকেট বিক্রি করা হয়, সিট বুকিং কিংবা যেকোনো তথ্যের জন্য অবশ্যই কল সেন্টারে যোগাযোগ করুন।